রেজাউল করিম মানিক
রংপুর, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : জেলা শহরের বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে লাউ, বেগুন ও রসুনের দাম কিছুটা বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। সেই সাথে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা কেজি, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২২-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে ডিমের হালি ছিল ৩৬-৩৮ টাকা।
বাজারে প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙ্গার দাম ৮০-৯০ টাকা থেকে কমে ৬৪-৭০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা, সজনে ১৫০-১৬০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, চিকন বেগুন ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন আগের মতোই ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়সের দাম কমে ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, শিমের দাম বেড়ে ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ২৫-৩০ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন ৮০-৯০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০-১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ আগের মতোই ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার মহসিন বলেন, সবজির দাম অনেক কমেছে । এখন আমরা স্বস্তিতে আছি ।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৮০-১৯০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি গত সপ্তাহের দরেই ৫০০-৫৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংস। এটি বিক্রি হচ্ছে ৭২০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। আর ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঈদের কারণে গত সপ্তাহে মুরগির দাম বাড়তি ছিল। এখন চাহিদা কমে আসায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
এই বাজারে মুরগি কিনতে আসা মিলু মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহে মুরগির দাম কমেছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা । যা আমাদের জন্য খুব উপকার ।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫-১৮০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, চিনি ১২০-১২৫ টাকা, ছোলা ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আগের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৮০-৮৫ টাকা. জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯৫-৯৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু মাছ ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।