আন্তঃদেশীয় অপরাধ মোকাবেলায় ৩ দিনব্যাপী বিশেষায়িত কর্মশালা শুরু

বাসস
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৯

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালানের মতো আন্তঃদেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ মোকাবেলায় আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদার ও জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে তিন দিনব্যাপী বিশেষায়িত কর্মশালার আয়োজন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার কক্সবাজারে ‘মানব পাচারের সমান্তরাল আর্থিক তদন্ত ও বিচারকে সমর্থনে ফৌজদারি বিষয়গুলোর জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা’ শীর্ষক কর্মশালা শুরু হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধ ও মোকাবেলা’ শীর্ষক আঞ্চলিক প্রকল্পের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অর্থায়ন করেছে। জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত সংস্থা-ইউএনওডিসি তা বাস্তবায়ন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ‘অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও অবৈধ সম্পদ উদ্ধারে একটি শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি এবং কার্যকর পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা (এমএলএ) কাঠামো তৈরি করা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক আইনি সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিন দিনের এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো, মানব পাচার (টিআইপি) ও অভিবাসী চোরাচালান (এসওএম) সম্পর্কিত আর্থিক তদন্ত ও বিচারকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করতে এমএলএ বিশেষজ্ঞদের একটি জাতীয় পুল প্রতিষ্ঠা করা।

উচ্চ পর্যায়ের এই প্রশিক্ষণে ফৌজদারি বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পররাষ্ট্র বিষয়ক ও আর্থিক গোয়েন্দা খাতের ২৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। এটি পারস্পরিক আইনি সহায়তা ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা বিকাশে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এমএলএ-এর মাধ্যমে মৌলিক নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়, যা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর বিচার ও ভুক্তভোগীদের অধিকার সুরক্ষা উভয়ই নিশ্চিত করে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সক্রিয় অংশগ্রহণ মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালানের মতো গুরুতর অপরাধ মোকাবেলায় দেশটির প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরছে।

ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ এশিয়ার ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. সুরুচি পান্ত বলেন, ‘এই কর্মশালা ন্যায়বিচার সমুন্নত এবং দুর্বলদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ও পরিচালনাগত সক্ষমতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নকৃত এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ এশীয় পাঁচটি দেশ, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে। যার লক্ষ্য ভারতসহ এই অঞ্চলজুড়ে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা।

এর উদ্দেশ্য হলো : এমএলএ, আর্থিক তদন্ত ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষার জন্য আইনি ও পরিচালনাগত কাঠামো উন্নত করা।


এই কর্মশালা আন্তঃদেশীয় সংঘবদ্ধ অপরাধ মোকাবেলায় কার্যকর ও অধিকার-ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচারিক সহযোগিতা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের ওপরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মানবে না : গোলাম পরওয়ার
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মোশাররফ গ্রেফতার
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত
পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা করা হবে : মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা
বাঞ্ছারামপুরে  নির্যাতনের শিকার শিশুটির চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন তারেক রহমান
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
জাফরুল্লাহ চৌধুরী তরুণদের কাছে অক্ষয় ও অমর হয়ে থাকবেন : ফারুক-ই-আজম
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এনফ্রেল প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
জাফরুর নতুন কমিটি : অডেন সভাপতি ও আকতারুল সাধারণ সম্পাদক
দেশের মানুষ হাসিনার দৃশ্যমান বিচার ও সংস্কার দেখতে চায় : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
১০