আজাদ রুহুল আমিন
বাগেরহাট, ১৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। জেলায় কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে ৮৫ হাজার ৪৮টি। বাগেরহাটে চাহিদার তুলনায় উদ্ধৃত্ত থাকায়, অন্য জেলায়ও কোরবানির পশু সরবরাহ করা করা যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার ৯ টি উপজেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার ৮শ’ ৯৭ টি। অন্যদিকে, ১৫১ টি উদ্ধৃত্ত সহ কোরবানির জন্য মোট পশু রয়েছে ৮৫ হাজার ৪৮ টি। এ পশুগুলোর মধ্যে ষাঁড় ২২ হাজার ৪৪টি, বলদ দুইহাজার ৭ শ’ ৩১ টি, গাভী ছয়হাজার ২ শ’ ৫৭টি সহ মোট গরু ৩১ হাজার ৩২ টি। এছাড়া, ছাগল ৫১ হাজার ৬ শ’ ৬২ টি, ভেড়া দুইহাজার ২০ টি এবং অন্যান্য পশু ১৬ টি।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে মোল্লাহাট উপজেলায় ১৩ হাজার ৩শ’ ১৭ টি, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ হাজার ৯শ’ ৩৩টি, সদর উপজেলায় সাতহাজার ৭শ’ ৩৯টি, শরনখোলা উপজেলায় ১২ হাজার ২১ টি, রামপাল উপজেলায় ১৩ হাজার ৬শ’ ৭৯ টি, কচুয়ায়া উপজেলায় ১০ হাজার ৪শ’ ৭০টি, চিতলমারী উপজেলায় ১১ হাজার ৬শ’ ২০ টি, মোংলা উপজেলায় একহাজার ২শ’ ৩৫ টি, ফকিরহাট উপজেলায় নয় হাজার ২০ টি পশু রয়েছে।
এদিকে, বাগেরহাট জেলায় মোট ৭২১টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। এসব খামারিরা ভারতীয় গরু প্রবেশে প্রশাসনের কঠোরতা ও নানা পদক্ষেপে খুশি। ভারতীয় গরু প্রবেশ না করলে কোরবানির পশুর হাটে তারা ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে আশা করছেন। এছাড়া, এবার গো-খাদ্যের দামও কিছুটা সহনীয়।
অনেক খামারি ইতোমধ্যে কোরবানির জন্য গরু বিক্রি শুরু করছেন। শেষ সময়ে জেলার গৃহস্থ ও খামারিরা ভালো দামের আশায় গবাদি পশুর যত্ন ও পরিচর্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেক ক্রেতা ইতোমধ্যে বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করে চাহিদা অনুসারে কোরবানির পশু খুঁজছেন, দেখছেন। বাগেরহাটের খামারিরা জেলায় ও বাইরে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করেও পশু বিক্রি করছেন।এবার গো-খাদ্যের দাম কিছুটা সহনীয় হওয়ায় ও ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় খামারিরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে বলে দাবি করছেন অনেক খামারি।
বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া এলাকায় অবস্থিত শাবানা এগ্রোফার্মস লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাবানা রহমান মুন্নি জানান, এবার অবৈধভাবে ভারতীয় গবাদিপশু প্রবেশ বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে তারা লাভের আশা করছেন। বর্তমানে তার খামারে ৬ টি মহিষ, ৮০ টি ছাগল, ৪৫ টি গাভী এবং ১৬ টি দেশি ষাঁড় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এবারে ছাগল ও দেশি ষাঁড় বিক্রি করবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছায়েব আলী বলেন, এবার বাগেরহাটে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদিপশু থাকায় কোরবানির পশু নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। অবৈধভাবে যাতে ভারতীয় গরু প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন সহ সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছি।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ বাসসকে জানান যে, আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির পশুবাহী ট্রাকসহ বিক্রেতাদের বিভিন্ন স্থানে যাতে চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেজন্য পুলিশ- প্রশাসন কাজ করছে।