ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহাকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সই করা এক পত্রের মাধ্যমে দেশের সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের এ বিষয়ে জানানো হয়।
পত্রে বলা হয়, আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ। বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান (একসঙ্গে) এই চার বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ শতাংশ করে একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধীন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এবারের বৃত্তি পরীক্ষা চারটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে: ১। বাংলা ২। ইংরেজি ৩। প্রাথমিক গণিত ৪। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান (৫০%+৫০%) এবং প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান হবে ১০০ এবং পরীক্ষার সময় ২.৩০ মিনিট।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ায় বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০২২ সালে এটি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, কিন্তু চালু করা হয়নি। তবে বিকল্প হিসেবে বৃত্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় মেধাবৃত্তি এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয় উপবৃত্তি। দীর্ঘদিন পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছে।