শিরোনাম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ২২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পরিবারের ইচ্ছে ছিল তাদের সন্তান সেনা কর্মকর্তা হবেন, কিন্তু সাগরের স্বপ্ন বৈমানিক হওয়ার। দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত বৈমানিক তৌকির ইসলাম সাগর (৩০) প্রাণ হারালেন প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহত হন তিনি। পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ মারা যান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগর।
রাজশাহীর উপশহরে পরিবারের বর্তমান নিবাস হলেও তৌকির ইসলাম সাগরের আদি ভিটা চাঁপাইনবাবঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে।
কৃষ্ণচন্দ্রপুরের গ্রামের বাড়িতে এখন তেমন একটা যাতায়াত নেই বললেই চলে। তবে সেখানে রয়েছেন তার অনেক নিকট আত্মীয়। তারা সবাই আজ শোকাহত।
আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই তৌকিরের স্বপ্ন ছিল আকাশে ওড়ার। পাইলট হওয়ার সেই স্বপ্নই কেড়ে নিল তৌকিরের জীবন। তৌকিরের মৃত্যুর খবরে তার পৈত্রিক নিবাস চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বৈমানিক তৌকিরের মামা শওকত আলী জানান, ছোট থেকেই সাগরের স্বপ্ন ছিল পাইলট হবেন। পরিবারের ইচ্ছে ছিল সেনা কর্মকর্তা বানানোর। তবে নিজের স্বপ্নেই অটল ছিল সাগর। পড়ালেখায় মেধাবী তৌকির ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন রাজশাহী গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে। এরপর ভর্তি হন পাবনা ক্যাডেট কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে যোগ দেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে।
তিনি জানান, বছরখানেক আগে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন তৌকির। কিছুদিন আগে সাগরের বিয়ে হয়। তার স্ত্রী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
তৌকিরের আরেক মামা সেলিম জানান, প্রথমে এক সেনা কর্মকর্তার মাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর পান তারা। পরে তিনি ও ঢাকায় অবস্থান করা সাগরের দুই চাচা সিএমএইচ হাসপাতালে যান। এখন তারা মরদেহ গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন।
তৌকিরের পরিবার রাজশাহীর উপশহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বাবা তোহরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। মা সালেহা বেগম গৃহিণী। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গতকালই তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন।
