ঢাকা, ২৪ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, মাইলস্টোনে দুর্ঘটনায় দগ্ধ শিশুদের অনেকেই ব্লাড ডোনেশন করতে চাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ স্কিন ডোনেশন করতে আগ্রহী। তবে হাসপাতালের সংরক্ষণে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্কিন রয়েছে, তাই স্কিন ডোনেশন আমরা নিচ্ছি না। আমাদের পর্যাপ্ত স্কিন মজুত আছে। যদি কারো প্রয়োজন হয়, আমরা সেখান থেকেই ব্যবহার করতে পারব। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন। এসবেরও কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসার জন্য যা যা লাগবে, সবকিছু সরকার বহন করবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
এ সময় অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, আজ ক্রিটিক্যাল অবস্থায় থাকা দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে এবং অন্যজন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মারা যান।
বর্তমানে ছয়জন রোগী ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এছাড়া ১৩ জন রোগী সিরিয়াস অবস্থায় আছে এবং তারা এখনো সেই অবস্থাতেই রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে তাদের মধ্যে কয়েকজন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে চলে আসতে পারে। বাকি ২৩ জন ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরির রোগীর মধ্যে ১৩ জনকে আমরা কেবিনে স্থানান্তর করতে পেরেছি।
ডা. নাসির আরও বলেন, একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বোর্ডের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ আসছেন। বাচ্চাদের চিকিৎসায় আমরা কোনো দেশ বা সীমান্ত ভেদে পার্থক্য করছি না। যে সিদ্ধান্ত ও মতামত আমাদের বাচ্চাদের জন্য উপকার হবে, আমরা সেটাই গ্রহণ করছি।