মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী রাইসার দাফন সম্পন্ন, শোকে স্তব্ধ গ্রামবাসী

বাসস
প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৫, ২১:৫১ আপডেট: : ২৫ জুলাই ২০২৫, ২২:৩৭
ছবি : বাসস

ফরিদপুর, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর  উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইসা মনির দাফন তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটির এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে  তার গ্রামে।

আজ শুক্রবার ভোরে রাইসা মনির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বাজড়া গ্রামে তার বাড়ির আঙ্গিনায় এসে  পৌঁছায়। তার মৃতদেহ শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষমাণ ছিল অসংখ্য মানুষ। কিন্তু লাশ দেখতে না পেয়ে অনেকেই হাউমাউ করে কেঁদেছেন। কান্নায় আশেপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এসময় কেউই চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনি।

পরে সকাল ৯টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে বাজড়া কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। রাইসার জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।

তিন সন্তানের মধ্যে এক সন্তানের মৃত্যুতে শোকে কাতর শাহাবুল-মিম দম্পতি। রাইসা মনির জন্মের দুই বছর আগে তাদের কোলজুড়ে আসে তাদের বড় মেয়ে সিনথিয়া (১৩) এবং সবার ছোট ছেলে রাফসান শেখ (৪)।

রাইসার পরিবার জানায়, রাইসা মনির মা-বাবার ইচ্ছা ছিল সন্তানদের ভালো স্কুলে পড়ানোর। উচ্চশিক্ষায় সু-শিক্ষিত করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্যে রাইসাকে ভর্তি করেছিলেন উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে। রাইসা মনি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো আর একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তার বড় বোন সিনথিয়া।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ওবায়দুর রহমান বলেন, রাইসা মনির অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকার মানুষ শোকে বিহ্বল। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর হৃদয়-বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এমন কোনো মানুষ নেই তার জন্য কাঁদেনি।

রাইসার বাবা শাহাবুল শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়েটা বলেছিল, বাবা ছুটির পর তুমি আমাকে নিতে এসো, আমি ছুটির পর স্কুলে গিয়েছি কিন্তু মেয়েকে পাইনি। শেষবারের জন্যও কলিজাটাকে দেখতে পারলাম না। তিনি বলেন, আমার বড় মেয়েটাও ওই স্কুলে পড়ে। সে আর স্কুলে যেতে চাইছে না। সে আমাকে বলে, যদি স্কুলে আবার বিমান ভেঙ্গে পড়ে। তার চোখে মুখে ভয় দেখতে পেয়েছি। আমি ছোট মেয়েকে হারিয়েছি, বড় মেয়েটিকে হারাতে চাই না।

শাহাবুল শেখ বলেন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পরদিন ২২ জুলাই ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা। পরে নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে আমার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করার পর আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৮ : সিভিল ডিফেন্স
নওগাঁর মান্দায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত
আমার শহরে জুলাই অভ্যুত্থান / নগরীতে চলে গণগ্রেপ্তার, থমথমে ছিল কুমিল্লা
নড়াইলে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
২৭ জুলাই : আরও দুই সমন্বয়ককে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয় ডিবি, ৩ দাবিতে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 
লক্ষ্মীপুরে কাভার্ড ভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
আমার শহরে জুলাই অভ্যুত্থান / চাঁদপুরে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা 
দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্ব নীরবতায় তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের
১০