নাটোর, ১৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পদ্মা নদীর পানিতে লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬৮৯ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। নিমজ্জিত ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নওশারা সুলতানপুর, চাকলা বিনোদপুর, দিয়ার শংকরপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর ও মোহরকয়া এবং বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন লালপুর সদর ইউনিয়নের কিছু এলাকার বসতবাড়ির আশপাশে এবং আঙিনায় পানি উঠেছে।
চরাঞ্চলের ৬৬০ হেক্টর জমির আখ, ১৪ হেক্টর জমির সবজি, ১১ হেক্টর জমির কলা এবং দুই হেক্টর করে জমির তুলা ও রোপা আউশ ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বিলমাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মুনতাজ আলী বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমির চালকুমড়ার ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
আরাজি বাকনাই চরের কৃষক আলাল আলী বলেন, ‘চাল কুমড়া, আখসহ প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল ডুবে গেছে।’
এদিকে বন্যার কারণে গোখাদ্য সংকটে পড়েছে চরাঞ্চলের গরু-মহিষ খামারিরা। ইলশামারী চরের খামারি আরিফ মণ্ডল বলেন, বন্যায় গরু মহিষ নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি। কোথাও ঘাস নেই। সব পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য লাল মোহম্মদ বলেন, পানি কমতে শুরু করেছে। পানি নেমে গেলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় বলেন, আমরা চর এলাকা পরিদর্শন করেছি। পদ্মার পানিতে চর এলাকার বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিফাত করিম জানান, জেলার প্রধান তিনটি নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিলমাড়িয়া এবং লালপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় বসতবাড়ির আশপাশে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০টি পরিবারে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। দু’দিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করি আজ থেকে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।