ঢাকা, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : নগরবাসীর বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে পাঁচটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে এডিবি অর্থায়নে বাস্তবায়িত আরবান প্রাইমারী হেলথকেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিসি নগর মাতৃসদন ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছিল। প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন তারিখে শেষ হলেও ১ জুলাই থেকে ডিএনসিসির সরাসরি তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও অধিগম্য, মানসম্মত, ন্যায্য ও টেকসই করার লক্ষ্যে অংশীদার বেসরকারি সংস্থাগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় মগবাজার এলাকায় নারী মৈত্রীর দুটি ইউনিট, মোহাম্মদপুর এলাকায় নারী মৈত্রী, মিরপুর মাজার রোড এলাকায় ঢাকা আহসানিয়া মিশন, বর্ধিত পল্লবীতে বাপসা, উত্তরা এলাকায় ইউটিপিএস এবং সাতারকুল এলাকায় পিএসটিসি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। মগবাজার এলাকার ছয়টি সিআরএইচসিসি’র মধ্যে চারটি ডিএনসিসির নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হবে।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. মারগুফ আরেফ জাহাঙ্গীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নগরবাসীর মৌলিক অধিকার। এই সেবার কার্যকর বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও মনিটরিং নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন অনুযায়ী নগর স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের ওপর ন্যস্ত। ডিএনসিসি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে অংশীদার এনজিওগুলোর নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং ডিএনসিসি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।