অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে মহিষ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন : মৎস্য উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৬
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আজ বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণ ভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় বক্তব্য দেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে চারণ ভূমি হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে মহিষের মতো মূল্যবান সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে।

সোমবার সকালে বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণ ভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, গবাদিপশু পালন প্রোটিন ঘাটতি নিরসন, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস) এবং কোস্টাল ভেট সোসাইটি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতি নির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের চারণ ভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ এবং এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও উঠছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে? তিনি আরও বলেন, মহিষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা প্রয়োজন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গবাদিপশুর চারণ ভূমি কমে যাওয়া এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য গবাদিপশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও টেকসই চারণ ভূমির উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।

উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন।

এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় খামারীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মাদারীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টারপ্ল্যান অফিস উদ্বোধন
নীলফামারীতে ১০ দিনব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলা 
নভেম্বরের ৩ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪৮.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
ইথিওপিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ‘আফ্রিকা-বাংলাদেশ ট্রেড শো ও বিজনেস সামিট-২০২৫’
সাতক্ষীরা সীমান্তে ভারতীয় বিভিন্ন মালামাল জব্দ
আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ টেস্ট দল ঘোষণা
সরকার সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
নতুন চুক্তির আওতায় বেতন বাড়ল নারী ক্রিকেটারদের
জাপানে দক্ষ কর্মী পাঠাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
১০