ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কালজয়ী সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে আজ সম্মাননা প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে তার একক সংগীতানুষ্ঠান।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় এ আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ব্যবস্থাপনায় থাকবে শিল্পকলা একাডেমি।
‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শিরোনামের এ অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। অনুষ্ঠানে সাবিনাকে নিয়ে দেশবরেণ্য শিল্পীদের স্মৃতিচারণের পাশাপাশি নবীন জনপ্রিয় শিল্পী ও সংগীত পরিচালকদের পরিবেশনায় তার গান গাওয়া হবে। এরপর থাকবে শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ শিল্পীর হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ ও সংস্কৃতি সচিব মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন অভিনেতা আফজাল হোসেন।
বাংলা গানের গৌরব, কোকিলকণ্ঠী খ্যাত সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নেন। তার সংগীতে হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি ‘অল পাকিস্তান স্কুল মিউজিক কম্পিটিশনে’ প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর সাবিনা শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রের গানেও কণ্ঠ দেন।
সাবিনা ইয়াসমিন এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চলচ্চিত্রের গান। পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গান, পল্লীগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, গজলসহ নানা ধারার গানও গেয়েছেন। বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী তিনি। দেশের গান ছাড়াও বিদেশি ভাষায়ও গান করেছেন।
দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ তাকে ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি ১৯৮৫ সালে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পান।
তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক' (১৯৮৪) এবং স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯৬) লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসাবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। এছাড়াও দেশে-বিদেশে পেয়েছেন আরও অসংখ্য পুরস্কার।