খাগড়াছড়ি, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় বৃষ্টি নেই, তবে উজানে অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা।
গতকাল শনিবার রাতের ভারী বর্ষণে জেলা শহরের নিচের বাজার, গরুবাজার, মেহেদীবাগ, উত্তর গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, মধুবাজার রাজবাড়ি, খবংপুড়িয়া, গোলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আকস্মিক জলাবদ্ধতায় চলাচলের রাস্তা ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পানিবন্দি রয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার।
আজ রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও চেঙ্গী নদীতে পানি বাড়ায় শহরের বিভিন্ন খালে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য খামার, আমন ধান ও সবজির খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
মেহেদীবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, 'রাতে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার কথা নয়। এ কারণে আমাদের কোন প্রস্তুতি ছিলনা। সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরে বন্যার পানি ডুকে যায়। এতে অনেক কিছুই নষ্ট হয় গেছে।
দীঘিনালা পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের বেলুন মেকার সুবোধী চাকমা বলেন, শনিবার রাতে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।
খাগড়ছড়ি পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, 'আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের মাঝে আমরা খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু রোদ উঠেছে আর ঢলের পানির কারণে পানি এসেছে আশাকরি বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে।'
খাগডড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, 'আকষ্মিক বন্যার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসলে তাদের জন্য পানি, খাবারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।