কেরানীগঞ্জ (ঢাকা), ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। বড় খামারিদের মাধ্যমে নয়, বরং গ্রামবাংলার নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
আজ রোববার কেরানীগঞ্জের আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর জেলার নদীবিধৌত জেলার চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অংশীজনদের মাঝে প্রাণী ও প্রাণিখাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, চরাঞ্চলের নারীদের নামে জমি বা সম্পত্তি না থাকলেও গবাদিপশু হলো তাদের নিজস্ব সম্পদ। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করলে পরিবার, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যয়ভার নির্বাহ সহজ হয় যা হয়তো পরিবারের একজন পুরুষ তার আয় থেকে সবসময় করতে পারেন না।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, আজ বিতরণ করা গবাদিপশু একসময় সম্পদে পরিণত হবে। পশু অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. আবদুর রহিম বলেন, প্রাণী ও খাদ্য বিতরণ শুধু উপহার নয়-এটি সুফলভোগীদের স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
আজকের বিশেষ বিতরণ কার্যক্রমে হাঁস পালন প্যাকেজের ৬৪ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২১টি করে হাঁস, মুরগি পালন ৬৯ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২৫টি করে মুরগি, ভেড়া পালনে ৭৪ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ৩টি করে ভেড়া, ছাগল পালনে ১০ জন সুফলভোগীর প্রত্যেককে ২টি করে ছাগল প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬৪ জন সুফলভোগীর মাঝে ৭৫ কেজি দানাদার খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ফরিদা ইয়াছমিন, অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহজামান খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিনাত ফৌজিয়া, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সুফলভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।