রাঙ্গামাটি, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান ভূমি সমস্যা সকলকে সাথে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাস্টার প্ল্যান রয়েছে, যেখানে ভূমির ব্যবহার, মালিকানা ও পরিকল্পনা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে। আমাদের দেশেও ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাইজেশন জরুরি, বিশেষ করে ভূমির জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজ শনিবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় ‘পার্বত্য জেলা সমূহের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন’ সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ সব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ল্যান্ড হোল্ডিং অনেকটাই কমিউনিটিভিত্তিক, যা থেকে বেরিয়ে এসে জমির মালিকানা ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে ভূমি জটিলতার কারণেই এখানে দারিদ্র্য বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। ভূমির দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে ডিজিটাইজেশনের বিকল্প নেই।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আসন্ন দুর্গাপূজা ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দান নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পাাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালা শেষে একই স্থানে তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল চিফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলাপ্রশাসক, হেডম্যান ও কার্বারীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভূমি উন্নয়ন কর পুনর্নির্ধারণ, রেকর্ড রুমের তথ্য হেডম্যানদের সাথে সমন্বয় করে স্ক্যানিং করে সংরক্ষণ করা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, বাজার ফান্ড সংক্রান্ত বিষয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে নিষ্পত্তি এবং রাঙ্গামাটি এসি ল্যান্ড অফিস ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমাসহ অন্য ব্যক্তিবর্গ।