সাতক্ষীরা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সাতক্ষীরার পাঁচ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় চার শিশু ও এক কিশোর পানিতে ডুবে মারা গেছে।
সোমবার সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর আবাসন প্রকল্পে ইসমাইল হোসেনের শিশু কন্যা খাদিম অসাবধান বশত পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে মারা গেছে। সোমবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক।
কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামে দুই বছরের শিশু ইরফান খাঁ পানিতে ডুবে মারা গেছে। সে কেড়াগাছি গ্রামের ইকরাম খাঁর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে গোসল করানোর জন্য শিশুটিকে ঘরের বাইরে রাখা হয়। এর কিছুক্ষণ পর রান্না ঘরের পাশে ডোবার পানিতে ডুবে সে মারা যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রান্নাঘরের পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে পানিতে ডুবে দেড় বছরের শিশু ঈশিতা সানার মৃত্যু হয়েছে। সানা বামনডাঙ্গা গ্রামের মহেন্দ্র নাথ সানার ছোট মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা জানান, বড় বোন মমতা সানার (৪) সঙ্গে বাড়ির পাশের পুকুরে গেলে অসাবধানতাবশত ঈশিতা পানিতে পড়ে যায়। বোন তাকে তুলতে না পেরে বাড়িতে খবর দেয়। পরে মা ও স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর গ্রামে মো. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে লামিসা খাতুন (১৯ মাস) পানিতে ডুবে মারা যায়। সোমবার দুপুরে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির উঠানের পাশের পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এছাড়া, শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে ফয়সাল হোসেন (১৬) নামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোর পানিতে ডুবে মারা গেছে। ফয়সাল স্থানীয় শাহিনুরের ছেলে। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক চায়ের দোকানে বসে থাকার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়।