সিরাজগঞ্জ,১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া হাটে যমুনা নদীতে নৌকায় পাটের হাট বসে। এতে পরিবহন খরচ সাশ্রয় হওয়ার কারণে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন।
পাট জমি থেকে কেটে তার আঁশ ছাড়িয়ে ভালো ভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। বিক্রি মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রেতারা নৌকাকে পাটের হাট হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
যমুনা নদীর দ্বারা পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত এই উপজেলায় মোট বারোটি ইউনিয়নের ছয়টি যমুনার পূর্বপাড়ে অর্থাৎ চর এলাকা এবং ৬টা যমুনার পশ্চিম পাড়ে যা বিড়ে এলাকা বলে পরিচিত। যমুনারপূর্ব পাড়ে কোন বন্যনিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই পুর্বপারের ৬ ইউনিয়নে বন্যা হয়।বন্যায় চরের জমি গুলোতে প্রচুর পলি পরে।
আর এই পলি মাটি চরের কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। পলিপড়ায় চরের ৬ইউনিয়নে ধান, পাট, ভুট্টা, মরিচ, তিল, তিশি, কালাই, আখ, অর্থাৎ কৃষিজ সকল প্রকার ফসল এই চরাঞ্চলে হয়ে থাকে।
বর্তমানে পাটের দাম বেশী থাকায় চরের কৃষকরা এই অর্থকারী ফসল পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
স্থানীয় কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যে, চলতি বছরে কাজিপুরে ৪২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। চাষাবাদের সিংহভাগই চরের ৬ ইউনিয়নে হয়েছে। কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়ায় সপ্তাহে ২ দিন হাট বসে।
ঐতিহ্যবাহী এই হাট থেকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পেয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে এই হাটের ইজারার ডাক হয়েছিল ৫২ লাখ টাকা।
কাজিপুরের চরাঞ্চল একটা কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল প্রায় সারা বছরই নৌকা যোগে বেচা-বিক্রির জন্য নাটুয়ারপাড়া হাটে নিয়ে আসে। নাটুয়ারপাড়ার চরের কৃষক আব্দুর রহিম,ও খাসরাজবাড়ি চরের কৃষক বাদশা মিয়া জানান, ঘোড়ার গাড়ি সহ অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে নৌকায় পণ্য সামগ্রী কম মূল্যে পরিবহন করা যায়। এখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী এমনকি অন্য জেলার ব্যবসায়ীরাও এসে নৌকায় নানা ধরনের পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে।