সুনামগঞ্জ, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় শিশুর প্রারাম্ভিক বিকাশ এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের অধীনে জাতি গঠনে শিশু বান্ধব ৩ দিনব্যাপী সাংবাদিকতা কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলার ১৮ জন সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও গণমাধ্যম বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এই কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
সমষ্টি মিডিয়া কমিউনিকেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের জাহিদুল হক খানের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, সিনারগোজ (এনজিও) এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেজওয়ান হক খান, সিআইপিআরবি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড.আল-আল-আমীন ভূইয়া, সমষ্টি পরিচালক রেজাউল হক, শিশু একাডেমি সুনামগঞ্জের জেলা কর্মকর্তা বাদল রায়, সিনিয়র সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, মুহাম্মদ আমিনুল হক প্রমুখ।
কর্মশালার ২য় দিনে প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজী নগর, নোয়াখালী এলকায় শিশু যত্নকারি প্রতিষ্ঠান ও মাচা তৈরি করে সাঁতার শেখানো প্রজেজক্ট পরিদর্শন করানো হয়।
নোয়াখালীর রুবেল হোসেন বলেন, পানিতে ডুবে অস্বাভাবিক শিশু মৃত্যু বাড়ছেই। তা রোধে সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগে শিশুদের মাচায় সাঁতার শেখানো হচ্ছে। আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে যাতে কোন শিশু দুঘর্টনার শিকার না হয় এজন্যই প্রকল্প কাজ করছে। গাজীনগরের অভিভাবক সালমা আক্তার বলেন, আমাদের সেন্টারে যত্নসহকারেই শিশুদের শেখানো হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু যত্ন কেন্দ্রে ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয় বলে জানান যত্নকেন্দ্রের অযুফা আক্তার।
সরেজমিনে গিয়ে নোয়াখালী এলাকায় সাঁতার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, একটি পুকুরে বাঁশ দিয়ে দুটো মাচা তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য এখানে আপন ভুবন, রঙের ভুবন, গল্পের ভুবন, স্বপ্নের ভুবনসহ চারটি সাঁতার কেন্দ্র রয়েছে।