ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দেশের অর্থনীতিতে জলজ সম্পদ আহরণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে সায়রাত মহাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়তার পাশপাশি রাজস্ব আয় বাড়ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বিবিধ সায়রাত মহাল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খাল, বিল, হাওর, বাওড় ও অন্যান্য জলাশয় দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অঙ্গ। এসব জলাশয় থেকে মৎস্য উৎপাদনের বড় অংশ আসে, যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা, খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
সিনিয়র সচিব জানান, সায়রাত মহাল বলতে সরকারের মালিকানাধীন সেই সম্পত্তি বোঝায়, যেগুলো থেকে ভূমি কর ছাড়া অন্যান্য প্রকার কর আদায় করা হয়। তবে, জলাশয় ভরাট, দখল, দূষণ, অবৈধ মাছ শিকার এবং অনিয়মিত লিজ ব্যবস্থাপনার কারণে এই সম্পদ হুমকির মুখে।
তাই নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণ ও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সালেহ আহমেদ।
তিনি উল্লেখ করেন, সায়রাত মহাল শুধু অর্থনীতির অংশ নয়, জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ উৎসও। তাই যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে এগুলো দেশের উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রধান ভিত্তি হতে পারে।
সালেহ আহমেদ আরও বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় নিয়মিত সার্ভে, মানচিত্র প্রণয়ন এবং তথ্যভান্ডার হালনাগাদ করে এ খাতকে আরও সুশৃঙ্খল করার কাজ করছে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাহউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মাহমুদ হাসান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।