
ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত নলকূপ বিক্রয়পূর্বক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম প্রথমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজার হতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে উক্ত রেকর্ডপত্রসহ টিম জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, উখিয়া কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এবং প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এদিকে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নওগাঁ থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে টিম অভিযোগে বর্ণিত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে—এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে ছদ্মবেশে জরুরি বিভাগ পরিদর্শন করে এবং উপস্থিত সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে। সরেজমিনে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এ সময় টিম বিষয়টি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তিনি জানান যে, অনুমোদিত ২৯টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন; ফলে নিয়মিত ও কার্যকর চিকিৎসাসেবা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। টিম সার্বিক পর্যবেক্ষণে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অবহিত করে।
এছাড়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ময়মনসিংহ কর্তৃক ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রদানে ঘুস বাণিজ্যসহ নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে টিম ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীরে মরিচারচর নামক স্থানে ২৭০ মিটার নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্ট টেন্ডার সংক্রান্ত সকল নথিপত্র সংগ্রহ করে। পর্যালোচনাক্রমে দেখা যায় যে, একজন দরদাতা ২০ লক্ষ টাকার কমে দরপত্র দাখিল করলেও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে অন্য এক দরদাতাকে, যার দর ছিল ২০ লক্ষ টাকা বেশি—যা কার্যাদেশ প্রদানের প্রক্রিয়ায় অনিয়মের ইঙ্গিত বহন করে। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে বাঁধ নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগসংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।
দুদক জানায়, অভিযানে সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।