
সিলেট, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সিলেটে কৃষি বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে কম পরিশ্রমে ও কম খরচে বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এতে ফসলের নিবিড়তাও ৫-২২ শতাংশ বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার নগরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট আয়োজিত ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিস্ট্যান্টস প্রকল্প (ফ্রিপ) এর আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন উইং) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিপ্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কৃষি একটি বিরাট সম্ভাবনা। তাই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার সব সময় আন্তরিক। সরকার গৃহিত বিভিন্ন কৃষি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলাসহ নিত্য নতুন ফসল বিদেশে রপ্তানি করতে কৃষির উন্নয়ন অনস্বীকার্য। তিনি প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষির উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফ্রিপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত দেব নাথের উপস্থাপনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রকব উদ্দিন আহমদ, ফ্রিপ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. হুমায়ুন কবির, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার শামসুদ্দিন আহমদ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপপরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান, মৌলভীবাজারের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের উপপরিচালক ওমর ফারুক।
রেপোটিয়ার ছিলেন, ফ্রিপ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক ড.হুমায়ুন কবির, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সিলেট এর উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুজ্জামান। দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট বিভাগের ১০৬ জন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধি অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, তিন বছর মেয়াদী তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ের ফ্রিপ প্রকল্পটি আগামী ২৬ সালের মার্চে শেষ হবে। প্রকল্পটি হাওর জেলা ৭টি সহ সিলেটের চার জেলায় চলমান রয়েছে। কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিআরডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
এই প্রকল্পের ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। প্রকল্পে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে সেচ সুবিধা, পতিত জমিতে উৎপাদন, আধুনিক চাষাবাদ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।