সুনামগঞ্জ, ২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলার ৪২৪টি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদীয় দুর্গা উৎসব।
আজ বৃহস্পতিবার মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে বিহিত পূজা। এরপর হবে দর্পণ ও বিসর্জন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম, দুর্গাপূজা বাড়ি, শ্রী শ্রী কালিবাড়ি মন্দিরসহ জেলা ও উপজেলায় বৃদ্ধ, অবাল বনিতা সকল শ্রেণি পেশার ভক্তবৃন্দ সারাদিন উপবাস থেকে মায়ের নৈকট্য লাভের আশায় মন্দিরে মন্দিরে অরাধনা ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন।
অধ্যক্ষ (অব:) পরিমল কান্তি দে বলেন, মন্দিরে, মণ্ডপে বেজে উঠেছে বিদায়ের সুর। নবমীর দিনের সব আচার শেষে আজ দশমীতে কৈলাশে (স্বামীর বাড়ি) ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা। আর বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা।
বুধবার সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন মন্দিরসহ বেশ কিছু মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদে সকাল থেকে সনাতনী ভক্তদের ভিড়। ঢাকঢোলের শব্দে চারদিক মুখর। মহানবমী উপলক্ষে বুধবার সকালে দুর্গার মহাস্নান ও তর্পণ সম্পন্ন হয়। ষোড়শ উপচারে পূজা করা হয়। পূজা শেষে যথারীতি অনুষ্ঠিত হয় অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ।
মূলত নবমীই পূজার শেষ দিন। নবমী নিশীথেই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে। তাই এ দিনটি শুধু আধ্যাত্মিকতার জন্য নয়, বিদায়ের আবেগও ভর করে ভক্তদের মনে। সনাতন বিশ্বাস মতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটান দেবী দুর্গা।
সুনামগঞ্জ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান কান্তি রায় বলেন, ‘দুর্গা মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। কৈলাশে ফিরে যাবেন মা দুর্গা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন মিলন জানান, জেলায় এবারের পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে পূজা উদ্যাপন করতে পেরেছেন।