সিলেট, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): সিলেটের মোগলাবাজারে উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ট্রেনটির লোকো মাস্টারসহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন, ট্রেনটির লোকোমাস্টার (চালক) মো. ইলিয়াস ও সহকারী লোকোমাস্টার জহিরুল ইসলাম নোমান।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে ইঞ্জিন ও তিনটি বগিসহ লাইনচ্যুত হয় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস। এতে চালকসহ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, রেলওয়ের ঢাকা অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কালনী এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে ক্রসিং করার কথা ছিল। সে অনুসারে কালনি এক্সপ্রেস মোগলাবাজার স্টেশনে বিপরীত দিক থেকে আসা উদয়ন এক্সপ্রেসকে অতিক্রম করে। সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেসকে মোগলাবাজারে রেল ক্রসিংয়ের লুপ লাইনে থামার সিগন্যাল দেওয়া হয়।
কিন্তু চালক সিগন্যাল না মেনে লুপ লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ইঞ্জিন ও তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। এই ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি মেরামত শেষে সকাল ১১টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে যায় কালনি এক্সপ্রেস।
দুর্ঘটনার বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ট্রেনটির লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিকেলে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এই সময় রেললাইনের আশপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা জানান তিনি।