রাঙামাটি, ১০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে পাহাড়ে সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।”
তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পাহাড়ে সকল জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা জরুরি, এটিকে কোনোভাবে ফাটল ধরানো যাবে না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি মিলন বিহারে জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসবের দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিনের বেইন বুনন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “বর্তমানে পাহাড়ের পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো এবং এটাই হওয়া উচিত। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে পাহাড় ও সমতলের সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে নিয়ে আয়োজিত প্রথম সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবর দানোৎসব ২০২৫ একটি ঐতিহাসিক আয়োজন, যা পাহাড় ও সমতলের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য উপদেষ্টার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমা, জাতীয় কঠিন চীবর দান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক রনজ্যোতি চাকমা, এবং রাঙাপানীর প্রবীণ সংগীতশিল্পী রনজিত দেওয়ান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকাশ প্রদীপ দানোৎসর্গ, প্রজ্জ্বলন, পঞ্চশীল প্রার্থনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় করণীয় মৈত্রী সূত্র পাঠ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে তিন শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু অংশ নিচ্ছেন। কক্সবাজার, টেকনাফ, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ সমতলের বিভিন্ন ভিক্ষুসংঘ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৬টি ভিক্ষুসংঘ (নিকায়)-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রনজ্যোতি চাকমা।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের বেইন বুনন কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে ফানুস উড়িয়ে শুভ সূচনা করেন পার্বত্য উপদেষ্টা।