ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : কেরানীগঞ্জ থানার শাক্তা ইউনিয়নের বাহেরচর ও রায়েরচর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
এসময় মোট ৬টি অবৈধ শিল্প কারখানা ও ৩টি আবাসিক গ্রাহকের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রের মাসিক প্রায় ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৯ টাকার সমপরিমাণ গ্যাস সাশ্রয় হবে।
কেরানীগঞ্জের মেঢাবিবি-২ আওতাধীন জিনজিরা শাখার অধীন ৫টি ওয়াশিং ও তার কারখানা এবং ১টি নির্মাণাধীন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সোমবারের অভিযানে শিল্প কারখানার অবৈধ ব্যবহারের জন্য মোট ৯ হাজার ১শ’ ঘনফুট/ঘণ্টা গ্যাস লোড বিচ্ছিন্ন করা হয়। এর মধ্যে বাহেরচর এলাকার ৪টি ওয়াশিং কারখানা (এর একটি ‘হ্যাভেন ওয়াশিং’ নামে পরিচিত) এবং ১টি তার কারখানায় অবৈধভাবে বয়লার, ড্রায়ার ও তাপাই ভাট্টিতে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছিল।
অভিযান চলাকালে অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিপুল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে বল ভালভ ৫টি, প্রায় ১৮০ ফুট পাইপ, প্রায় ১০ ফুট হোজ পাইপ, মোটর ৩টি, বুস্টার/কমপ্রেসর ৩টি, বার বার্নার ৩টি এবং পাইপ বার্নার ৪টি। প্রতিটি কারখানার অবৈধ সার্ভিস লাইন সোর্স লাইন থেকে স্থায়ীভাবে ‘কিলিং’ (বিচ্ছিন্ন) করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে পুনরায় অবৈধ সংযোগ স্থাপন করা না যায়।
এ ছাড়া জুয়াইল ও রায়েরচর এলাকায় অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত চুলায় গ্যাস ব্যবহার করায় দুই আবাসিক গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্লাস্টিক সিল স্থাপন করা হয়েছে। একই এলাকায় একটি অবৈধ কারখানার আঙিনায় পাওয়া আরেক অবৈধ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ‘কাপিং’ করা হয়েছে।
এই অভিযানের ফলে মাসে মোট ৬৮ হাজার ৩৩৮ ঘনমিটার পরিমাণ গ্যাস সাশ্রয় হবে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লাখ ৮৪ হাজার ৩০৯ টাকা। এ বিপুল পরিমাণ গ্যাস সাশ্রয় জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থা জানিয়েছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধে বিশেষ করে শিল্প কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান নিয়মিতভাবে ও আরও জোরদারভাবে চলবে।