
রাজবাড়ী, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): শীত মৌসুমের শুরুতেই রাজবাড়ী জেলার হাট বাজারে আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে। ভালো দামের আশায় কৃষকেরা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বেশি বেশি সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো ও বরবটি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রান্তিক কৃষকদের শীতকালীন সবজি আবাদের জন্য সহযোগিতা করে আসছে। ইতোমধ্যেই রবি মওসুমের প্রণোদনার আওতায় ২০ হাজার কৃষকের মধ্যে ৩ কোটি, ৪৫ লাখ, ৩ হাজার ২০০ টাকার সার, বীজ, প্রদান করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। যার মধ্যে ছিল, ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১ কেজি সূর্যমুখী, ১০ কেজি চিনা বাদাম, ১ কেজি পিয়াজ, ৫ কেজি মুসুর ও ৮ কেজি খেশারির বীজ।
প্রান্তিক কৃষকেরা এবার শীত মওসুমের আগেই ফুলকপি, মুলা, বাধাকপি, পটল, শিম, টমেটো, করল্লা বেগুন, ধনিয়া, লাউ, ধুন্দুলসহ নানা জাতের সবজি চাষ শুরু করছেন। চারা রোপণ এবং গাছে আশা ফুল ও ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
পদ্মার চরের সদর উপজেলার মিজান পুর, উড়াকান্দা, রামকান্তপুর, সুলতানপুর ও মুলঘর ইউনিয়নের কৃষক রওশন আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, পুরো শীত মৌসুমে সবজির অধিক দাম পাওয়া যায়। কারণ বর্ষা মওসুমের পরে, সবজির বাজার চড়া থাকে, সে কারণে সচেতন কৃষকেরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবজি চাষে মনযোগী থাকেন। তাই ফলন ভালো হয় এবং সবজি বিক্রি করে দামও ভাল পাওয়া যায়।
জৌকুরার কৃষক মিলন জানান, সবজি চাষে আমার সংসারে সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, তার সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না, পাইকারেরা ক্ষেত থেকেই ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যায়।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বাসসকে বলেন, এ মওসুমে শীতকালীন সবজি আবাদের জন্য ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১০০ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সহযোগিতা করে আসছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই ২০ হাজার কৃষককে রবি মওসুমের প্রণোদনার আওতায় ৩ কোটি, ৪৫ লাখ, ৩ হাজার ২০০ টাকার সার, বীজ প্রদান করেছে।