
ময়মনসিংহ (বাকৃবি), ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ১ম ইন্টার্নশিপের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৩ মাসব্যাপী আয়োজিত ইন্টার্নশিপে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের (২০১৯-২০ সেশন) মোট ১০৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আজ বুধবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে এই সমাপনী অনুষষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ।
মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জি এম মুজিবর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ফিশারিজ ম্যানেজনেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্টার্নশিপ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আলী রেজা ফারুক। এসময় তিনি ইন্টার্নশিপের বিভিন্ন স্থান, সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা ও মৎস্য ক্ষেত্রকে উন্নয়নের জন্য ইন্টার্নশিপ ও এই শিক্ষার্থীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্টার্নশিপ চলাকালীন শিক্ষার্থীরা মাঠ পর্যায়ের যে সকল কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছিলেন সেগুলোর বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম। এরপর ইন্টার্নশিপ সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নাতকের ফলাফলের ভিত্তিতে মোট তিন জনকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- হাসিবুল হাসান বিজয়, মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং মোছা. রাফিয়াতুল জান্নাত রিফা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, 'মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্যে এটি একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু দেশে নয়, তারা সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্মিলিত প্রয়াসে আগামী বছর থেকেই এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে ইন্টার্নি করতে যাবে বলে আশা রাখছি। এ বিষয়ে কাজও চলমান রয়েছে বলে জেনেছি। এর মাধ্যমে শুধু দেশের মৎস্য সম্পদ ও সম্ভাবনা নয়, অন্যান্য দেশের বিষয়েও ধারণা পাবেন।দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ অবদান রাখবে।