
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। এর প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানুষের জীবনমান রক্ষা এবং টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ৬১ জেলার সাথে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের এই পরিবেশে সবকিছুই খাপ খাওয়ানো সম্ভব না। পাহাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার ভিত্তি হলো এর নিজস্ব পরিবেশ। যুগ যুগ ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের খাপ খাওয়ানোর প্রবণতা আগে ছিল সহনশীল।
তিনি বলেন, পর্বতের গায়ে বেড়ে ওঠা ইকো ট্যুরিজমকে নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। কাপ্তাই লেখের সৌন্দর্য্য নষ্ট হওয়ার জন্য অসচেতনতা ও অসাবধানতাকে দায়ী করে তিনি এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট সকলের আচরণে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
মন্ত্রণালয় সচিব মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস।ৎ
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরল ইসলাম।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেইন ফর ডেভেলপমেন্ট-এর সিনিয়র ইন্টারভেনশন ম্যানেজার ড. মোহাম্মদ ফারুক আজম, বাংলাদেশ ইনস্টিটউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর সাসটেইনেবল ফিন্যান্স এন্ড সাসটেইনেবেলিটি স্পেশালিস্ট খোন্দকার মোরশেদ মিল্লাত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।
আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম ও যুগ্মসচিব অতুল সরকার, কৃষিমন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক নাজমুল হুদা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম সুমনসহ অন্যান্য তাদের মতামত তুলে ধরেন।