বাসস
  ০২ মে ২০২৩, ১৭:৫৫
আপডেট : ০২ মে ২০২৩, ১৮:০৭

বঙ্গবন্ধু ও সোহরাওয়ার্দী’র নামে গোপালগঞ্জে ‘অনন্য সাক্ষাৎ’ স্মৃতিসৌধ

গোপালগঞ্জ, ২ মে, ২০২৩ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ঐতিহাসিক স্মৃতি ধরে রাখতে গোপালগঞ্জে ‘অনন্য সাক্ষাৎ’ নামে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের মূল ফটকের  বিপরিতে শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়াম এলাকায়  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঐতিহাসিক এ স্মৃতিসৌধটি বাস্তবায়ন করেছে।
এই স্মৃতিসৌধ সেই শক্তিশালী প্রতিকী  রাজনৈতিক বন্ধুত্বের সম্পর্ককে প্রতিফলিত করেছে, যা চিরকালের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসকে বদলে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্বতন্ত্র কন্ঠস্বরের মাধ্যমে জনগনের মন জয় করার মত ক্ষমতা রাখতেন। অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত করতেন তাঁর আর্ন্তজাতিক ও রাজনৈতিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে। স্মৃতিসৌধের মোটা দেয়ালটি বঙ্গবন্ধু ও তার প্রিয় জনগণের প্রতিকী স্বরূপ। ওই দেয়ালে সোহরাওয়ার্দীকে লেখা বঙ্গবন্ধুর একটি চিঠি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কাঁচের দেয়ালটি সোহরাওয়ার্দীকে উপস্থাপন করছে। সেখানে  বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে লেখা সোহরাওয়ার্দীর ১৯৫২ সালের একটি পত্র হুবহু তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে  হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রথম সাক্ষাৎ হয় গোপালগঞ্জে। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আতœজীবনী’ গ্রন্থের ১০ ও ১১ নং পৃষ্ঠায় এ ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডি সূত্র জানায়, ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে  হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এই স্মৃতি ধরে রাখতে ও নতুন প্রজম্মের কাছে এই ইতিহাস তুলে ধরতেই এই স্মৃতিসৌধ  নির্মাণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা খোন্দকার এহিয়া খালেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু  সোহরাওয়ার্দীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং দেখা করতেন। বঙ্গবন্ধুকে তিনি অনুপ্রাণিত করতেন তার অর্ন্তজাতিক ও রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা দিয়ে। তাদের মধ্যে  রাজনৈতিক বন্ধুত্বের সম্পর্কের গভীর মেলবন্ধন ছিল। তারই শক্তিশালী প্রতিকী  প্রতিফলন ঘটেছে পরবর্তীতে, যা চিরকালের জন্য  বাংলাদেশের ইতিহাসকে বদলে দিয়েছে। এই স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের জন্য দু’ নেতার  অবদান নতুন প্রজম্মের কাছে জানান দেবে।
গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ২০৭.৬৫ টাকা ব্যয়ে  এই স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ কোর্ট মসজিদের মূল ফটকের বিপরিতে শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়াম এলাকায় এটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এই স্মৃতি ধরে রাখতে ও নতুন প্রজম্মের কাছে সংগ্রামী দুই ব্যক্তিত্বের ইতিহাস তুলে ধরতেই এই স্মৃতিসৌধ  নির্মাণ করা হয়েছে।