বাসস
  ১৭ মে ২০২৩, ১৮:৪৫

ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতেও নান্দনিক হবে : মেয়র তাপস

ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে কর্পোরেশন গৃহিত কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চাইতে সুন্দর ও নান্দনিক হবে। 
তিনি বলেন, ‘ধোলাইখাল জলাধার এই এলাকার, পুরান ঢাকার একটি ফুসফুস। পুরান ঢাকার একটি আকাক্সক্ষার জায়গা। এই এলাকার জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে ১৭ মে, আজকের এই ঐতিহাসিক দিবসে আমরা এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইনশাল্লাহ আগামী এক বছরের মধ্যেই এই নোংরা দৃশ্যপট, ভাগাড়ের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়ে হাতিরঝিলের চাইতেও সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’
আজ ধোলাইখাল জলাধার সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  
এ সময় ধোলাইখাল জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এখানে যেমনি সুপ্রশস্থ হাঁটার পথ থাকবে তেমনি  এলাকার ছেলে-মেয়েরা এখানে আসবে। সাইকেল চালিয়ে নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করবে। এখানে সবুজায়ন হবে, উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে -যেখানে আমরা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা করব। এছাড়াও এখানে পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। ঘাটলা থাকবে, মাঠ থাকবে। আমরা নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করব। শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। ঝর্ণা থাকবে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা থাকবে।’
ধোলাইখালের পানি দূষণমুক্ত রাখতে নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে অনেক পয়:নিস্কাশন সংযোগ রয়েছে। সেগুলো স্থানান্তর করা হবে যাতে পানি দূষিত করতে না পারে। সে ব্যবস্থা করা হবে। এই ধোলাইখাল দূষিত হতে পারবে না। এখানে যে পলি বর্জ্য জমে আছে সেগুলো দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে যে বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টির পানিও সংরক্ষণ করা হবে। সামগ্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলবোই তুলবো ইনশাআল্লাহ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান ইমন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সারোয়ার হাসান আলো ও সংরক্ষিত আসনের নাসিমা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।