বাসস
  ১৮ মে ২০২৩, ২১:৪২

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে হবে : আইজিপি

ঢাকা, ১৮ মে, ২০২৩ (বাসস) : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দিতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি পুলিশের সম্মান ও মর্যাদা বজায় রেখে অন্যান্য সার্ভিস ও বাহিনীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
আইজিপি বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের শেষ দিনে সভাপতির বক্তৃতায় এসব নির্দেশনা দেন। 
কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অতিরিক্ত আইজিপিগণ, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, পিবিআই’র অতিরিক্ত আইজিপি বনজকুমার মজুমদার নিজ নিজ দপ্তর এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ল্যান্ড এ্যান্ড এস্টেট, ফাইনান্স, অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন, এডমিন ও লজিস্টিকস শাখার সংশ্লিষ্ট ডিআইজিরা স্ব স্ব শাখার কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তৃতা করেন।
আইজিপি বলেন, ‘আগামীতে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আইনশৃঙ্খলার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’ 
পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে। 
তিনি বলেন, আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে।
আইজিপি বলেন, গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি গুজব রোধে সাইবার মনিটরিং বাড়াতে হবে।
কোন পুলিশ সদস্যের বিচ্যুত আচরণের দায় পুলিশ বাহিনী বহন করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোন পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতা এবং নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’।’