বাসস
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৮
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৯

পঞ্চগড়ের সব চা কারখানা দুই মাস বন্ধ থাকবে

পঞ্চগড়ের সব চা কারখানা দুই মাস বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত। ছবি: বাসস

পঞ্চগড়, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫(বাসস) : জেলায় চা বাগান গুলোয় সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং (ছাঁটাই) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টানা দুই মাস চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়টিতে বাগান থেকে চা পাতা উত্তোলনও হবে না।

আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের  আঞ্চলিক কার্যালয় জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, জানুয়ারির গত ১তারিখ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে যেমন নতুন ভাবে চায়ের পাতা তৈরি হবে, তেমনি আগামী দুই মাস পরিচর্যায় চায়ের গুণগত মান বাড়বে।

জানা গেছে, ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। এদিকে প্রচন্ড খরতাপ ও বাগান মালিকদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য না দেওয়া সহ বিভিন্ন কারণে চলতি মৌসুমে গেল বারের চেয়ে ৩৪ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। অপরদিকে ১ হাজার একর জমির চা বাগান নষ্ট করেছে বাগান মালিকরা। 

এদিকে নতুন মৌসুমের সাথে সকল সংকট নিরসনসহ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। 

পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে ২৯টি, ঠাকুরগাঁও এ রয়েছে ১টি।

কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, পঞ্চগড়ের চা’কে কিভাবে আরো ভালো করা যায় সে লক্ষে সকল সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। মৌসুম শেষ হওয়ায় জানুয়ারী থেকে  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস প্রুনিং চলবে। এতে করে নতুন মৌসুমে সুন্দর গুণগত মানের চা পাতা পাওয়া যাবে। আগামী পহেলা মার্চ থেকে আবার কর্মচঞ্চল হবে এখানকার চা শিল্প।