রাজশাহী, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জেলার তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রাম থেকে অসুস্থ ছোট বোন মাজেদাকে দেখতে এসে অটোরিকশা চাপায় রোকেয়া ওরফে বাদলি (৪৫) নামে বড় বোন নিহত হয়েছে। নিহত রোকেয়া বংপুর গ্রামের মৃত লালবর আলীর মেয়ে ও গঙ্গারামপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের স্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বংপুর গ্রামের মৃত রোকেয়ার দূর সম্পর্কের চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, গত কয়েকদিন আগে রোকেয়ার ছোট বোন মাজেদা রাজশাহীর বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে তার অস্ত্রাপাচার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ বোনকে দেখতে রোকেয়া রাজশাহীর ডলফিন ক্লিনিকে পৌঁছে বোনকে দেখে ক্লিনিক থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে খাবার আনার জন্য রাস্তার অপর প্রান্তে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বেপরোয়া গতির একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তার সাথে থাকা দূর সম্পর্কের আরেক চাচা ফজলু তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
দেলোয়ার আরো জানান, নিহতের পরিবারে আর কেউ রইলনা। তার বাবা-মা মারা গেছে আগেই। একমাত্র ভাই ও অসুস্থ বোনও অসহায়। পরিবারটি আগে থেকেই অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছিলেন। তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে রোকেয়া হত্যাকারীর বিচার দাবি করেন।
চাচা ফজলুর রহমান বলেন, চোখের সামনেই তার দুর্ঘটনায় আহত হওয়া দেখেছি। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অটোরিকশা চালককে ধরতে পারিনি। ঘটনাটি খুব দুঃখজনক ।
আরএমপির বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অটোরিকশা চাপায় এক নারী নিহত হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অটোরিকশাটি শনাক্তের চেষ্টা করা হবে। মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি অটোরিক্সা চলাচল করে। প্রশিক্ষণহীন এসব চালকরা নিয়ম-কানুন না মেনেই অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতিতে অটোরিকশা চালায়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।