নড়াইল, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): জেলার তিন উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। বিগত দিনের চেয়ে বেশি দাম থাকার কারণে কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে এবছর জেলায় গত বছরের তুলনায় অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে ।
এ মওসুমে জেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ২৩হাজার ৪শ’ ৯৮ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৩লাখ ৫ হাজার ৭০৮ বেল পাট। গত বছরের চেয়ে এবছর ৬৮ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।গত বছর পাটের আবাদ হয়েছিল ২৩হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে।পাটের সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কৃষকরা পাট চাষে মনোযোগী হয়েছেন বলে কৃষি কর্মকর্তরা জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলার ৩ উপজেলায় মোট ২৩ হাজার ৪৯৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১২হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৪০৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।বিঘা প্রতি পাটের গড় ফলন ৮ মণ। কৃষকরা বলছেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ হয়।খরচ বাদে মুনাফা থাকে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি পাটখড়ির আঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার বাসসকে জানান,্ এ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ও-৯৮৯৭ জাতের, জিআরও-৫২৪ জাতের এবং বিজেআরআই তোষা -৮ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, পরিবেশ বান্ধব বলে দেশে পাটের বহুমুখী ব্যবহার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে দেশে ও বিদেশে পাটের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি মূল্য পাওয়ার কারণে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন এবং পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার ৩ উপজেলায় সোনালী পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাষ উপযোগী জমিতে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়।
পাটের আবাদ বাড়াতে জেলায় মোট ৪হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে এক কেজি করে বীজ, ৫ কেজি করে ডিএপি এবং ৫ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে।