বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৮

কুয়েতকে আরও বেশি জনশক্তি নেয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলী তুনিয়ান আব্দুল ওয়াহাব হামাদাহ আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ থেকে কুয়েতকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বিকেলে সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এইচ ই আলী থ এ কিউ হামাদাহ সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও কুয়েতের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। কুয়েতে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেয়ার জন্য কুয়েত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি বলেন, কুয়েত বাংলাদেশ থেকে আরও নারী গৃহকর্মী নিতে আগ্রহী। আমি তাদেরকে নারীর পাশাপাশি পুরুষ কর্মী নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি জানিয়ে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন, কুয়েত মুসলিম ও এশিয়ান মিত্র হিসেবে সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। বাংলাদেশও ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্বাসন ও মাইন অপসারণে কুয়েতকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। স্থলমাইন অপসারণে ২৭০ জন বাংলাদেশি সৈন্য নিহত ও ৫৬ জন আহত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে জনশক্তি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কোনো চুক্তি নেই। এ ধরনের চুক্তি দ্রুত করা দরকার।

বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি, মিলিটারি ও নিরাপত্তা ইস্যু, রোহিঙ্গাদের সহায়তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কুয়েত বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম অংশীদার। রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন সেক্টরে কুয়েত সহযোগিতা করে আসছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউএস-এইড’র মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা বন্ধ করে দেয়; সেক্ষেত্রে যেন কুয়েত রোহিঙ্গাদের উন্নয়ন ও পুনর্বাসনে আরও বেশি মাত্রায় সহযোগিতা করে।

জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে কুয়েত সহায়তা করেছিল। ভবিষ্যতেও তাদের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। ক্রমান্বয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত এসময় কুয়েত দূতাবাসসহ বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করায় উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ) খন্দকার মো. মাহবুবুর রহমান ও যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১ অধিশাখা) মু. জসীম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।