তথ্য কমিশনকে স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা করার প্রস্তাব 

বাসস
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৫

ঢাকা, ৬ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : তথ্য কমিশনকে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর টিআইবি কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে ‘তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন বক্তারা। 

গত ছয় মাস ধরে দেশে তথ্য কমিশন নেই, সরকার কমিশনার নিয়োগে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার সমালোচনা করেন ফোরামের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মিডিয়া রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই)-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য কমিশনকে কার্যকর রাখতে প্রধান তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনারদের যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়। সুপ্রীম কোর্টের একজন বিচারক যেরূপ কারণ ও পদ্ধতিতে অপসারিত হইতে পারেন, সেইরূপ কারণ ও পদ্ধতি ব্যতীত প্রধান তথ্য কমিশনার বা অন্যকোনো তথ্য কমিশনারকে অপসারণ করা যাবে না। প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারগণের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, ভাতা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি যথাক্রমে আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের অনুরূপ নির্ধারিত করার প্রস্তাব করা হয়।

এছাড়া সংসদ কার্যকর থাকাকালীন অবস্থায় স্পিকার কর্তৃক মনোনীত সরকারি দলের একজন এবং বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য; তবে সংসদ কার্যকর না থাকলে বাছাই কমিটির সভাপতি কর্তৃক মনোনীত একজন বিচারপতি এবং তথ্য অধিকার ফোরাম কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব করা হয়। পদ শূন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনার ও তথ্য কমিশনারগণের নিয়োগ দেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে। 

বাংলাদেশে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কতৃক জারীকৃত তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ, ২০০৮ সামান্য সংশোধনপূর্বক নবম পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ পাস হয়। তথ্য অধিকার আইন সবচেয়ে বড় যা দিয়েছে, তাহলো এটি জনগণকে ‘রাষ্ট্রের মালিক’-এর মর্যাদা দিয়েছে। মালিক হিসেবে সেই ক্ষমতা প্রয়োগের পথও তৈরি করে দিয়েছে তথ্য অধিকার আইন। জাতিসংঘ তথ্য অধিকারকে পরশ পাথরের সঙ্গে তুলনা করেছে, যার স্পর্শে সবকিছু খাঁটি সোনায় পরিণত হতে পারে। এই আইন জনগণের সঠিক ও ন্যায্য সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারে, দুর্নীতির লজ্জাজনক অবস্থান থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে। জনগণের সকল অধিকার প্রাপ্তির পথ সুগম করতে পারে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সর্বোপরি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এগুলোর জন্যই তথ্য অধিকার আইন একটি যুগান্তকারী আইন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দুর্নীতির অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় মির্জা ফখরুলের ক্ষোভ ও নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিন্দা, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
খাদ্যে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট বৃদ্ধির প্রযুক্তি উদ্ভাবন রাবির
চব্বিশের যুবশক্তিকে নিয়েই ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই: ডা. শফিকুর রহমান
দুর্গাপুরের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জন গ্রেফতার
এনএসইউ বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মনোনীত
স্বল্পমূল্যের ই-কমার্স রপ্তানি আয় দেশে আনার নিয়ম শিথিল করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ, ১ জন নিহত 
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মীর হেলালের প্রচারণা শুরু
১০