উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ 

বাসস
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ২০:৩৯ আপডেট: : ১৫ মার্চ ২০২৫, ২০:৫১
আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টা জিওবি ফেসবুক

ঢাকা, ১৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ ও অধস্তন আদালতের পরিবর্তে ‘স্থানীয় আদালত’ ব্যবহারে সুপারিশ করা হয়েছে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কারের সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেন। সুপারিশের সারসংক্ষেপ কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিচার বিভাগ নিয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘কমিশন উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ করে দেশের সকল বিভাগে হাইকোর্ট বিভাগের সমান এখতিয়ার সম্পন্ন হাইকোর্টের স্থায়ী আসন প্রবর্তনের সুপারিশ করছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আসন রাজধানীতেই থাকবে।’

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (জুডিশিয়াল অ্যাপয়েনমেন্টস কমিশন), গঠন করা হবে। এর সদস্যরা হবেন, প্রধান বিচারপতি (পদাধিকারবলে কমিশনের প্রধান), আপিল বিভাগের পরবর্তী দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারক (পদাধিকারবলে সদস্য), হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দু’জন বিচারপতি (পদাধিকারবলে সদস্য), অ্যাটর্নি জেনারেল এবং একজন নাগরিক (সংসদের উচ্চকক্ষ কর্তৃক মনোনীত)। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্ট বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার জন্য উপযুক্ত জ্ঞান ও দক্ষতার অধিকারীর পাশাপাশি সততা ও সত্যনিষ্ঠার শর্ত অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছে।

আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ-জ্যেষ্ঠ বিচারককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদানকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের একটি বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে সুপারিশে বলা হয়।

সুপারিশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল থাকবে। তদন্ত ও অনুসন্ধানের জন্য অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে প্রেরণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপ্রধানের পাশাপাশি জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন কাউন্সিল, এনসিসি)-এর থাকবে। বিচার বিভাগকে পূর্ণ আর্থিক স্বাধীনতা প্রদানের সুপারিশ করছে কমিশন।

‘অধস্তন আদালত’ বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, কমিশন ‘অধস্তন আদালত’-এর পরিবর্তে ‘স্থানীয় আদালত’ ব্যবহারের প্রস্তাব করছে। স্থানীয় আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, ছুটি এবং শৃঙ্খলাসহ সকল সংশ্লিষ্ট বিষয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত থাকবে। এই লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি বিচারিক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে কমিশন। সংযুক্ত তহবিলের অর্থায়নে সুপ্রিম কোর্ট এবং স্থানীয় আদালতের প্রশাসনিক কার্যক্রম, বাজেট প্রণয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার ওপর এই সচিবালয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ম্যানচেস্টার সিটির সাথে চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছেন রুবেন দিয়াস
‘জুলাই ৩৬’ উদযাপনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক কর্মসূচি
বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার যুক্তরাজ্যের
সিনসিনাতি মাস্টার্স থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন জকোভিচ
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংস্কার ও সাফল্য
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত প্রধান উপদেষ্টার
আইন মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে গৃহীত কার্যক্রম
আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছর : ক্রীড়াঙ্গনে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাফল্য
১০