মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

বাসস
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১০:৫৮
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস): মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্নাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে আজ রায় দেন।

আদালতে এটিএম আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। প্রসিকিউসন পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলেন-জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত  সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটি এম মাসুম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মতিউর রহমান, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরে আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড.হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন (লিভ গ্রান্ট করে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আপিল শুনানির পর গত ৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

মুক্তিযুদ্ধকালীল মানবতাবিরোধী অপরাধের  অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ ছিলো।

রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাস্ট্র যন্ত্র ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ওই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলে দাবী ছিল অনেকের। সে সময় বিচারপতির স্কাইপি কেলেংকারী, আসামিপক্ষের সাক্ষী গুম এসব ঘটনা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উঠা প্রশ্নকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টার আহ্বান
ভাঙন পরিলক্ষিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুততার সাথে সাড়া দিতে হবে
মাগুরায় ছেলের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মায়ের মৃত্যু
কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৩ কেজির কোরাল মাছ
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে ড. কামাল হোসেনের শোক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
মোস্তফা মহসিন মন্টুর মৃত্যুতে ইসলামী আন্দোলনের শোক 
জনগণের প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান
পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট করা যাবে না: পার্বত্য সচিব
জামায়াত সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করবে
১০