গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশ অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১৮:১১
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার । ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম ভুক্তভোগী রাষ্ট্র। তিনি বলেন, বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গত করলেও, বাংলাদেশকে এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে, অথচ বৈশ্বিক নিঃসরণে আমাদের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

‘দুধ ও গরু পালন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পরিমাপ-লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) হস্তক্ষেপের প্রভাব’ শীর্ষক একটি যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসময় বলেন, উন্নত দেশগুলো বহুবার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি। তাই অন্যদের দিকে না তাকিয়ে আমাদের নিজেদের সক্ষমতার ওপর ভর করে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন ইস্যুতে আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমনে প্রাণিসম্পদ খাতের কিছুটা ভূমিকা থাকলেও, বাংলাদেশে এর দায় তুলনামূলকভাবে নগণ্য।

প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান অতিথি বলেন, প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অপরিহার্য, তবে এর সঙ্গে মিথেন গ্যাস নিঃসরণ কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর বাংলাদেশে প্রতিনিধি জিয়াও চুন শি, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ ও টাস্ক টিম লিডার আমাদু বা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন এলডিডিপি-এর প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সাফল্যের নির্দেশকসমূহ এবং অর্জিত ফলাফলসমূহের ওপর আলোকপাত করেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় জামায়াতের সন্তোষ প্রকাশ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ দুদকের
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
জামায়াতের আমীরের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
কর্নেল আকবর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল 
জমিতে বিষাক্ত কীটনাশকের ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার ১,৭২৬ জন
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি মেনে চললে ইরানও মানবে : প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান
ইরান-ইসরাইলকে তিরস্কারের পর ট্রাম্প বললেন, ‘যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর’
জবি’র বাসে র‌্যাগিং হলে আইনি ব্যবস্থা
১০