টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি : পরিবেশ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৫ আপডেট: : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫৮
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রোববার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ‘অ্যামচ্যাম’ আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন । ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধুমাত্র কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়— এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি।

আজ রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়লগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ— উভয়ের প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদ নির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ হতে থাকে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামোই টিকবে না।

টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন,  শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ে যে নীতিমালার খসড়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। ভূগর্ভস্থ পানিকে কেউ যেন আর বিনামূল্যে না নেয়, সেজন্য তার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, একবার যখন শিল্পকারখানাগুলো পানির মূল্য পরিশোধ করবে, তখন তারা এর ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে। 

তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা রপ্তানিমুখী পণ্যে না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি— এটি জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন।

জ্বালানি বিষয়ে উপদেষ্টা জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রত্যেক সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু একটি নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বাস্তবায়নের শুরু।

জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই একটি ন্যায্য বৈশ্বিক টেকসই ব্যবস্থার প্রয়োজন।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে অগ্রাধিকার পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, যেখানে আইন লঙ্ঘনের হার মাত্র ৫ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, টেকসই বিনিয়োগকে শুধু উৎপাদকের দায় হিসেবে দেখলে চলবে না। এর ব্যয় ন্যায্যভাবে ক্রেতা ও উৎপাদক— উভয়ের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি যারা তৈরি করছেন, সেই লাখ লাখ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন এবং অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি ও চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার। 

রিকাভার, শেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিসথ প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আগামীকাল যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা রেজিস্ট্যান্স ডে পালিত হবে 
জামালপুরে আল-আকাবা সমবায় সমিতির ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে সিআইডি
এনডিসিতে টোকিওর নিরাপত্তা কৌশল তুলে ধরলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
সিরিয়ায় সহিংসতায় ১ লাখ ২৮ হাজারের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ
বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১১০ রানে অলআউট পাকিস্তান
জাতীয় সমাবেশে যোগদানকালে ৩ জনের মৃত্যুতে জামায়াতের আমিরের শোক
জুলাই শহীদদের স্মরণে গাজীপুরে বৃক্ষরোপণ
আগামী বছর ফিরে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০
ফিরে দেখা জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ / সিলেট জুড়ে ছিল চাপা ক্ষোভ-আতঙ্ক, সাংবাদিক এটিএম তুরাবের দাফন, জামায়াত নেতারা গ্রেপ্তার
১০