জলাধার, মাঠ ও পার্ক সংরক্ষণে বিভিন্ন দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএনসিসি

বাসস
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৭

ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান রক্ষার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) বিভিন্ন সরকারি দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫’-এ প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ ও জলাধারের জমি ক্রয়-বিক্রয় বা ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন রোধ করা জরুরি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সই করা চিঠি ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক, জেলা প্রশাসকগণ, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, নগরের বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য ড্যাপ-এ প্রস্তাবিত এসব স্থানের ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন না করা, খাজনা সংক্রান্ত বিধি-বিধান আরোপ এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে ডিএনসিসি’র ৫ম বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তাবিত পার্ক ও জলকেন্দ্রিক পার্কে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও অননুমোদিত দখল ও ব্যবহার রোধে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে আফতাবনগর সংলগ্ন বাড্ডা এলাকার সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলা মৌজার প্রায় ১৫০ একর জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাবিত স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।

একইভাবে মিরপুরের বাউনিয়া, সেনপাড়া, পর্বতা, বিশিল, পাইকপাড়া, নন্দারবাগ, বড় সায়েক, মিরপুর ও নবাবের বাগ এলাকায় প্রায় ৭৫৯ একর, কাফরুলের লালাসরাইতে ১৮ দশমিক ১১ একর, ক্যান্টনমেন্ট থানার জোয়ার সাহারায় ৪৩ দশমিক ২৯ একর, মিরপুরে ৫৮৭ একর, বাড্ডা-ভাটারা-সাঁতারকুল ও সুতিভোলায় ১৮৫ দশমিক ২৩ একর, খিলগাঁওয়ের শহর খিলগাঁও এলাকায় ১৭০ দশমিক ৫০ একর, তুরাগের বাউনিয়ায় ১৯৭ দশমিক ২৬ একর, পল্লবীর মারুলে ২৪ দশমিক ৬১ একর এবং দক্ষিণ খান, উত্তর খান ও বরুয়া এলাকায় ৭১ দশমিক ২৬ একর জমিতে প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।

মোট প্রায় ১ হাজার ৫০০ একর প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠ সংরক্ষণে  এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নগরের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে বলে ডিএনসিসি মনে করছে।

ডিএনসিসি আশা করছে, ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ অনুযায়ী প্রস্তাবিত এসব স্থান সংরক্ষণ করলে ঢাকাকে একটি জলবায়ু সহনশীল শহরে রূপান্তর করা সহজ হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে আমাকে আয়নাঘরে থাকতে হতো : আব্দুল হান্নান মাসউদ
প্রতিবন্ধিত্ব জয় করে সফল দিনাজপুরের রাজিউল
কুড়িগ্রামে খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালিত
নওগাঁয় মার্সেলো তরমুজ চাষে সফল চাষিরা
বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালন   
আমার শহরে জুলাই অভ্যুত্থান / রাজশাহীতে ৫ আগস্ট পরবর্তী ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতেন শিক্ষার্থীরা
মাদারীপুরে ৫ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই
জয়পুরহাটে খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালনে দোয়া মাহফিল
নাটোরের নারদ নদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু 
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ বৈঠকের আগে তেলের দাম বৃদ্ধি
১০