শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): মিয়ানমারের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থা (আইআইএমএম) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করবে, যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিও রয়েছে।
আইআইএমএম প্রধান নিকোলাস কুমজিয়ান আজ বলেন, ‘মিয়ানমারে যেকোনো গোষ্ঠী বা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের তদন্ত করার ম্যান্ডেট আমাদের আছে, তা সে আরাকান আর্মি হোক, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী হোক বা অন্য কেউ হোক।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা বা অন্য কেউ যদি নির্যাতনের শিকার হয়, আমরা তদন্ত করব। আমরা এই উদ্দেশ্যে প্রমাণ সংগ্রহ করছি’ ।
মায়ানমারে প্রবেশাধিকার ছাড়া তদন্ত কীভাবে এগোবে জানতে চাইলে, কৌমজিয়ান ব্যাখ্যা করেন যে, আধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যদিও দেশে বাস্তবে প্রবেশাধিকার নেই।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থা মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি স্বীকার করেন যে মিয়ানমারের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্যাতনের প্রমাণ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের শিকারদের ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইআইএমএমের চলমান প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ উদারভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়েও আলোচনা করেছেন।