শিরোনাম
ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন, তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা এবং স্ত্রী মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে গতকাল এদিন ধার্য করে আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ জালাল বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।
প্রথম মামলার এজহারে বলা হয়েছে বাহাউদ্দিন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন পূর্বক দখলে রেখেছেন। এছাড়াও তিনি ২৯টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
এসব অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, বাহাউদ্দিনের মেয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা পাবলিক সার্ভেন্ট থাকাবস্থায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। ১৬টি ব্যাংক হিসাবে তিনি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। এসব অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার এজাহারে বলা হয়, বাহাউদ্দিনের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম. বাহাউদ্দিনের অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপপ্রয়াসে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে প্রদর্শিত করে স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ তার নিজ নামে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন পূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন এবং বাহাউদ্দিনের অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রীর নামে ওই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনে একে অপরকে সহযোগিতা করার দায়ে মেহেরুন্নেছা এবং আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন'র বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।