বাসস
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:২৪

গত ৬ মাসে ভ্যাট নিবন্ধন প্রদানে এনবিআর-এর ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : গত ৬ মাসে ভ্যাট নিবন্ধন প্রদানে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী ভ্যাটের আওতা বাড়ানো এবং নতুন নতুন ভ্যাট দাতাকে ভ্যাট নেটে অর্ন্তভুক্তরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান নানা ধরণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এনবিআর-এর মতে, জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যে বিভিন্ন ধরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যার জন্য নতুন ভ্যাট নেট বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।

গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৪৪টি, কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নিবন্ধন সংখ্যা কমে ৪ হাজার ২২৮টি হয়। অর্থাৎ একই সময়ের তুলনায় নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ২৫ শতাংশ কমে যায়।

এনবিআর’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পরবর্তীকালে এনবিআর-এর নতুন প্রশাসন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নতুন ভ্যাটদাতা শনাক্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেন। ফলে পরবর্তী ৬ মাসে অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি সময়ে নতুন নিবন্ধনের হার ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

নতুন ভ্যাট নিবন্ধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর ইতোমধ্যে ভ্যাটযোগ্য বার্ষিক টার্নওভার সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করেছে। ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত ও ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টার্নওভারের আওতায় রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ের সকল কমিশনারগণকে নতুন নিবন্ধন প্রদান ও আইনানুগ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে করদাতাদের সাথে সেবামূলক মনোবৃত্তি বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এছাড়া সকল কর্মকর্তাদেরকে নতুন ভ্যাটদাতা বাড়ানোর জন্য মেধাজাত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আউট অব দা বক্সে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের কর্মপ্রবণতা, দক্ষতা ও সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিবন্ধন সংখ্যা প্রবৃদ্ধিতে সফল কর্মকর্তাকে ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ প্রদান করা হবে।

এনবিআর ইতোমধ্যে ভ্যাট নেট বৃদ্ধিতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এনবিআর আশা করছে যে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে পরবর্তী ছয় মাসে নতুন নিবন্ধন সংখ্যা ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।

এ বিষয়ে সর্বস্তরের অংশীজন, ব্যবসায়ী, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ সকলকে ইতিবাচক মনোবৃত্তি গ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেছে এনবিআর।