গুলিস্তানের ফুটপাতে জমজমাট ঈদের বাজার

বাসস
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৩
রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র গুলিস্তানের ফুটপাতে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। ছবি: বাসস

\ মাহামুদুর রহমান নাজিদ \

ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): ঈদকে ঘিরে রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র গুলিস্তানের ফুটপাতে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। সারা বছরই এখানে তুলনামূলক কম দামে পোশাক, জুতা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যায়, তবে ঈদের মৌসুমে কেনাবেচা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক ডাকে মুখরিত পুরো এলাকা।

‘ব্যাইছা লন একশ’, ‘দেইখ্যা লন একশ’-এমন ডাকাডাকির সঙ্গে চলছে ঈদের পোশাক বিক্রি। পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, প্যান্ট, থ্রি-পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, জুতা, ব্যাগ, আতর, টুপি সবই মিলছে এই অস্থায়ী দোকানগুলোতে। মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাক কিনতে এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

সোমবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জমজমাট কেনাবেচা হচ্ছে ফুটপাতে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট ও গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাতে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমে বেশ জমে উঠেছে। পোশাক থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। এখানে প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, বেল্ট, শিশুদের পোশাক, লুঙ্গি, মেয়েদের পোশাক, ট্রাউজার, পায়জামা, টি-শার্ট, ঘড়ি, শাড়ি, মানিব্যাগ, চশমা সবকিছুই পাওয়া যায়।

এখানে দোকান ও মান ভেদে ছেলেদের শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৫শ’ টাকায়, জিন্স প্যান্ট  ৩শ’ থেকে ৮শ’ টাকায়, গ্যাবাডিন প্যান্ট ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, টি-শার্ট ১শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা, থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবী ৩শ’ থেকে ৮শ’ টাকা,  লুঙ্গি ২শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ফ্রক ২৫০ থেকে ৫শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের পূর্ব দিকে টি-শার্টের দোকান নিয়ে বসেছেন জহির উদ্দিন। তিনি বাসস’কে বলেছেন, গুলিস্তানে সবসময় মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। ঈদবাজারে মানুষ নতুন পোশাক কেনে তাই আমাদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে।

প্যান্ট বিক্রেতা মো.ইব্রাহীম বাসস’কে বলেছেন, এখান দিয়ে মানুষ সদরঘাট হয়ে বাড়িতে যাবে। আমাদের অনেক ক্রেতারা সদরঘাটগামী লঞ্চের যাত্রী। ভালো কাপড় দেখলে তারা আমাদের থেকে কিনা নিয়ে যায়। প্রতিদিনই ক্রেতাদের চাপ বাড়ছে। আশা করি ঈদের আগে আমাদের ব্যবসা আরো ভালো হবে।

নারিন্দা এলাকা থেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আবদুল মতিন। তিনি বলেছেন, ছেলের জন্য পাঞ্জাবী ও পায়জামা কিনতে এসেছি। এখানে মার্কেটের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায় যা আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। সুবিধা মতো দামে পাইলে নিজের জন্য ও কিনবো। তবে দাম অন্য বছরের চেয়ে একটু বেশি মনে হচ্ছে।

মগবাজার থেকে পোশাক শ্রমিক মো. রুবেল এখানে এসেছেন কেনাকাটা করতে। তিনি বলেছেন, ঈদে সবসময়ই চেষ্টা করি মা বাবা ভাই বোনদের জন্য কিছু কেনাকাটা করার। এখানে দরাদরি করে কম দামে কেনা যায়। একই জিনিস বড় মার্কেটে গেলে দাম বেশি পড়বে। আমাদের বাজেটের মধ্যে ফুটপাতেও ভালো জিনিস পাওয়া যায়। তাই এখানে আসা।

ঈদের আগের কিছুদিন গুলিস্তানের ফুটপাতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। ক্রেতারা শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়ে। তাই শেষ মুহূর্তে ভালো বিক্রির আশা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মার্কিন শুল্কনীতির কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাতে পারে আইএমএফ: ব্লুমবার্গ
কুমিল্লায় আলুর ন্যায্য মূল্য নিয়ে বিপাকে কৃষকরা 
পুতিনের ইস্টার যুদ্ধবিরতির মধ্যেও রুশ হামলা অব্যাহত: জেলেনস্কি
গাজা সহায়তা নিয়ে হামাস নেতাদের সাথে তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধানের বৈঠক
বর্ষা আসলেই বাঁধ ভাঙে, শঙ্কায় তিস্তা পারের মানুষ, দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবি রংপুরবাসীর
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
দুই ওপেনারকে হারিয়ে প্রথম সেশনে ৮৪ রান বাংলাদেশের
বিএনপির সাথে বৈঠকে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সুরক্ষা ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ
চাঁদপুরে আগুনে পুড়েছে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
১০