গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের

বাসস
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৭:৪৬ আপডেট: : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৮:৪৯
বিএনপি মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে একযোগে কাজ করতে  বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,‘আমরা সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়পরতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমূলক উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে এগিয়ে যাবো।’

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

শোষিত ও নিপীড়িত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজও বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার সুরক্ষা ও গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।’ 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালের এ দিনে বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক স্বৈরশাসনের গ্লানি থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিল। লাখ লাখ শহীদের রক্তে রাঙ্গানো আমাদের স্বাধীনতা। আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে, যাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবস সবচেয়ে গৌরবময় ও পবিত্রতম দিন।  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে রক্তস্নাত স্বাধীনতা লাভ  বিশ্বে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল-তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চুড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করেছিল। দেশে অনিয়ম, অবিচার, অরাজকতা, আতঙ্ক ও ভয় ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার হাত দিয়ে তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন, সেটিও ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছিল। 

তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও গত বছরের জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত হয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিগত তিন নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এনসিপি’র
ভোলায় তোফায়েলের ছেলে বিপ্লব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিএমইউতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি ট্রেনিং প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
জলবায়ু সংকট উপকারী প্রজাতির প্রাণীর বিলুপ্তি ত্বরান্বিত করছে
গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন যেকোনো দিন : চিফ প্রসিকিউটর
চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নাবিক নিখোঁজ
ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ জুলাই
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে ৫ দিনব্যাপী ভর্তি মেলা শুরু
ঝালকাঠিতে ১০ শহীদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা প্রদান
চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব: অতিরিক্ত চিকিৎসাকর্মী চাইলেন রিইউনিয়নের হাসপাতাল প্রধান
১০