ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না’ বলে কোনো একটি মহল জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেছেন, বিএনপিসহ সব দল সংস্কার ইস্যুতে মতামত দিয়ে দিয়েছে। সেখানে সরকার কোথায় ঐক্যমত হয়েছে, সেটা জনসম্মুখে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তুলে ধরা উচিত।
আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এদিন বিকেল চারটায় এনডিএম এর সাথে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এরপর গণফোরামের সাথেও বৈঠক করে বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন একমাসের মধ্যে দেয়া উচিত। এরপরই যেন সবাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আমীর খসরু বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ আসছে না বলেই সবার মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, শঙ্কা রয়ে গেছে। এটা পরিষ্কার করার প্রয়োজন। বলা হচ্ছে সংস্কার শেষ করে সরকার নির্বাচনের দিকে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- সংস্কার প্রস্তাব সব দলের পক্ষ থেকেই সরকারকে দেয়া হয়েছে। সরকার কোথায় ঐক্যমত হয়েছে, সেটা কেন জনসন্মূখে তুলে ধরা হচ্ছে না? এ নিয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ বলছে আমরা সংস্কার চাই, কেউ বলছে চাই না। এই ধোঁয়াশা পরিষ্কার হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করার উপায় একটাই সেটা হলো- সংস্কার প্রস্তাবে সরকারের ঐক্যমতের জায়গাটা পরিষ্কার করা। যেসকল জায়গায় ঐক্যমত হয়নি, এগুলো নিয়ে জনগণের সামনে গিয়ে তাদের ম্যান্ডেড আনতে হবে।
সরকারের ঐক্যমতের জায়গা পরিষ্কার করতে দেরি হচ্ছে কোনো? এমন প্রশ্ন রেখে আমীর খসরু বলেন, বলা হচ্ছে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার হবে। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে সরকার কোথায় ঐক্যমত হয়েছে সে সমস্ত জনসন্মূখে তুলে ধরলেই আর কোনো ধোঁয়াশা থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে তারা প্রস্তুত তাহলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে অনুবিধা কোথায়? আগামী জুনের মধ্যে জুলাই সনদ হয়ে গেলে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। এর আগেই নির্বাচন দেয়া সম্ভব।’
সরকার আর জনগণের মাঝখানে ব্রিজ হলো জনপ্রতিনিধিরা এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকার কারণে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা দেখার কেউ নেই। এর কারণ হলো- সরকার আর জনগণের মাঝখানে যে ব্রিজ সেটা হলো ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি’। এই ব্রিজটা আজকে নেই বলেই সরকারের সঙ্গে জনগণ কানেক্ট হতে পারছে না। ফলে দেশের অভ্যন্তরে দিন দিন নানা ধরনের সমস্যা বাড়ছে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন প্রয়োজন।’