ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জনদুর্ভোগ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দুদক জানায়, সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলের সড়কে ময়লা অপসারণ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি, দায়িত্বে অবহেলা এবং নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে উত্তরা ও উত্তরখান এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য গ্রহণ এবং রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়।
প্রাথমিক পর্যালোচনায় সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলায় জনদুর্ভোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়া দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় থেকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে হয়রানি, ওষুধ বিতরণে অনিয়ম, পরীক্ষার যন্ত্রপাতির অকার্যকারিতা, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম এবং আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে এক্সরে রুম ও প্যাথলজিকাল বিভাগ পরিদর্শন করে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবারের সঙ্গে সরবরাহকৃত খাবারের অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। অভিযান শেষে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসাসেবায় অবহেলা, হয়রানি ও ওষুধ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুড়িগ্রাম থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে টিম ছদ্মবেশে উপস্থিত হয়ে ওষুধ বিতরণ কাউন্টার পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায়, রোগীর প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে দেয়া ওষুধের মিল নেই। বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানানো হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ফার্মাসিস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
এছাড়া, রোগীর খাদ্য সরবরাহ সংক্রান্ত কাগজপত্রসহ অন্যান্য নথিপত্র সংগ্রহ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।