ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস): রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় মূল সড়কে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে পরিচালিত অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশা চালককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান এবং তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ডিএনসিসি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মূল রাস্তায় চলাচলরত ব্যাটারি চালিত রিকশা জব্দ করা হয় এবং এর মধ্যে কয়েকটি রিকশা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
গণমাধ্যমে রিকশা চালকের দুরবস্থা ও আর্তনাদের খবর ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের চোখে পড়লে তিনি তৎক্ষণাৎ এই তিন রিকশা চালকের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিকেলে ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত তিন রিকশা চালককে ৫০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এসময় প্রশাসক বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত রিকশা চালকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিন্তু এটা পুনরাবৃত্তি হবে না। যারা ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে নেন। ঢাকা শহরের মূল রাস্তায় কোনো রিকশা চলতে পারবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত রিকশা চালকরা হলেন, বেলকুচি সিরাজগঞ্জের মো. খলিল, ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানার রাসেল মিয়া, বাকেরগঞ্জ বরিশালের সুমন মৃধা।
এ সময় ডিএনসিসি প্রশাসক এই তিনজন রিকশা চালককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরাতে ব্যাটারি চালিত এইসব অবৈধ রিকশা অপসারণের বিকল্প নাই। সরকার ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বুয়েট কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত রিকশা প্রস্তুত করতে কয়েকটি কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে। এইসব রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্র্যাক প্রায় এক লাখ রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজাসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।