ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস): নতুন একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে, দক্ষ মানব সম্পদের অভাব, পুরানো সরঞ্জাম, কর্মীদের ঘাটতি, ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশনের অভাব, আইনি স্বীকৃতির অভাব এবং অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে দেশের বেশিরভাগ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র (ডিএমআইসি) অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার কক্সবাজারের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চস্তরের কর্মশালায় সমীক্ষার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলা পর্যায়ে ৬৫টি বহুতল ডিএমআইসি ভবন নির্মাণ করেছে।
জাতীয় ও স্থানীয় উভয় স্তরে দুর্যোগ-সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং প্রচারের জন্য এই কেন্দ্রগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোগের আগে, চলাকালে এবং পরে সময়োপযোগী ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করা যাতে সমন্বিত পদক্ষেপ, ঝুঁকি প্রশমন ও সহনশীলতা তৈরিতে সহায়তা করা যায়।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এডিপিসি’র আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ জেমস লংটন কক্সবাজার, কুড়িগ্রাম ও বাগেরহাটের ডিএমআইসিগুলির উপর "দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র শক্তিশালীকরণ" শীর্ষক এই গবেষণা সমীক্ষাটি সম্পন্ন করেছেন।
সমীক্ষায় সৌরশক্তিচালিত সিস্টেম, স্যাটেলাইট ফোন, ভূ-স্থানিক সরঞ্জাম এবং রিয়েল-টাইম তথ্য ড্যাশবোর্ডের সাথে সফটওয়্যার এবং দক্ষতা উন্নয়ন সহায়তা সহ সজ্জিত তিনটি পাইলট ডিএমআইসিকে সক্রিয়করণের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করতে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ সুপারিশ করা হয়েছে।
এতে একটি আনুষ্ঠানিক নীতি কাঠামো, সকল স্তরে দুর্যোগ তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ এবং একটি কেন্দ্রীভূত জাতীয় দুর্যোগ ড্যাশবোর্ড তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।
সমীক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে নিবেদিত দুর্যোগ তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনগুলি পূর্ব সতর্কতা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গ্রহণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এশিয়ান দুর্যোগ প্রস্তুতি কেন্দ্র (এডিপিসি) এবং গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রস্তুতি অংশীদারিত্ব (বিপিপি) এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কক্সবাজারের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সোলাইমান, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মুর্শেদ চৌধুরী (খোকা) এবং এডিপিসি-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মোহাম্মদ আহসান উল¬াহ এবং এডিপিসি ব্যাংকক প্রতিনিধি শিবানী গুপ্ত।