ঢাকা, ১৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নানাবিধ আর্থিক দুর্নীতি, গঠনতন্ত্র এবং তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট বাছাই প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আজ শনিবার এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে বিসিবির গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৮ থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়, কিন্তু এই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবি প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো, চাকরি বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধি ইত্যাদি তৈরি করতে পারেনি- যা নানাবিধ অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছে। তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে বাছাইয়ে ২০১২ থেকে পরবর্তীকালে কঠিন শর্তাবলি সংযুক্ত করা হয়, যার ফলে পূর্বের ৬০ থেকে ৭০ টি ক্লাবের অংশগ্রহণের পরিবর্তে মাত্র ২টি দল অংশগ্রহণ করে কোয়ালিফাই করে। এক্ষেত্রে কঠিন শর্তাবলি সংযুক্তকরণের পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল কি না- তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে টিম সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
এ ছাড়াও বিসিবির বিভিন্ন লজিস্টিকস সংক্রান্ত কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে দুদক টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
এদিকে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না করা, খাবার বণ্টনে অনিয়ম, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ রাখাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের সরবরাহকৃত খাবারের মান এবং পরিমাণের সঠিকতা যাচাইয়ে ব্যাপক অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া দুদক টিম ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহকালে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার কর্তৃক অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গাফিলতি লক্ষ্য করে দুদক টিম, যা নিরসনকল্পে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রদান প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে টিম অভিযোগে বর্ণিত প্রকল্পের কার্যাদেশসমূহ, দরপত্র সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, বিল ভাউচারসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে। পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট টিম ২টি চলমান প্রকল্পের কাজ সরেজমিন পরিদর্শন করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় অভিযোগে বর্ণিত কয়েকটি প্রকল্পের কাজের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে দেখা যায়। অধিকন্তু কাজের সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদনও পাওয়া যায়নি।